বিশেষ সতর্কীকরণ


পড়তে ভালো লাগবে না , পড়তে গিয়ে ভাবতে বসলে তো গেলো গঙ্গা স্নানেও পাপ শুদ্ধি হবে না । তাই বিশেষ সতর্কীকরণ "পড়তে নেই, নইলে ভালো থাকতে নেই"

Wednesday, May 18, 2016

স্বাদে আহ্লাদে - দি বেঙ্গল ঘরানা



জন্মদিনে দাদাকে একটা সারপ্রাইজ, বৌদির এই খেয়ালই মূলত এই ব্লগপোস্টের উৎপত্তিস্থল। যদিও এই সারপ্রাইজ আমাদের সব্বার কাছে এমন একটা লোভনীয় ব্যাপার হয়ে উঠবে এবং ক্রমে তা একটি ব্লগোন্নিত হবে এমনটা ভাবা যায়নি। অপ্রত্যাশিত এমন সব সুখকর অনুভূতিগুলোর একটা স্থায়ী সুর মনে গেঁথে যায়।তাই কখনও কোনো আলোচনায় আবার এই জন্মদিন উঠে আসলেই বাকি ইনিংসগুলো আরামসে ছাপিয়ে যাবে আপাত কিছুদিনের জন্য।

নিতান্তই ব্যাক্তিগত ও জন্মদিন সংক্রান্ত আনুষাঙ্গিক ঘটনার কোলাহল বাদ দিয়ে নিয়েই লেখা শুরু।

গন্তব্য্ দি বেঙ্গল ঘরানা। ফেসবুকের পাতা উলটে ঠিক জন্মদিনের আগের দিন ইউরেকা করে ওঠে বউদি। সঙ্গে সঙ্গে রিং ও রেওয়াজে আয়োজনও হয়ে যায় দাদার একটা সারপ্রাইজ বার্থডে ডিনারের।




যখনই আপনারা মনের মধ্যে বেশ গাল পাড়তে শুরু করেছেন, এই ভেবে যে এত গৌরচন্দ্রিকা করে শেষমেষ ডিনার? তাদের ধৈর্য শক্তিটা একটু বাড়াবার অনুরোধ করব।যদিও পৌছোবার আগে অবধি আমাদের কাছেও এটা একটা নেহাৎ গৃহত্যাগী নৈশভোজ ছাড়া আর কিছুই ছিল না।

এবার আসি অন্দরমহলের কথায়, অন্দরমহল কারণ, পৌছে দেখি বেঙ্গলী ঘরানা সেই তথাকথিত কোনো রেষ্টুরেন্ট না। আমরা এসে পড়েছি আর এক পরিবারেই যেখানে ছেলে, বউমা আর শাশুড়ি মিলে সাজিয়ে তুলেছেন এক হোম ডাইনিং বা তাদের কোট আনকোট পপ আপ রেষ্টুরেন্ট। তাই ইচ্ছে হলেই আপনি ঢুঁ মারতে পারবেন না, কারণ পুরো ব্যাপারটাই ঘটে কোনো অনুষ্ঠান কেন্দ্রিক।    




উইকডেজগুলোতে সকলেই নিজ নিজ কর্মস্থলে নিজ"পদে"র দায়ীত্ব সামলে, উইকএন্ডে তাদের এই হুজুগে মাতা। তখন তারা তাদের ভালোলাগার "পদ"গুলি নিয়ে পরিবেশনে নেমে পড়েন কোমর বেঁধে। আর সে যে সে পদ নয়, তাদের হুজুগ বাঙালির সেই সব পদ নিয়েই যা কালের স্রোতে বিলুপ্তির পথে। তাদের এই পদ-অর্পনের এমন হুজুগ নিতান্তই অভিনব।আর সেখানেরই কিছু দৃশ্যপট...

ঢুকতেই, হাতে এল হাতটক; মাটির ভাঁড়ে, তেতুল, লঙ্কা সহযোগে তৈরী একরকম সুরুয়াতি চুমুক।তারপর গল্পগুজবের ফাঁকেই টেবিলে ভূতের রাজার বরের মত হাজির হতে শুরু করে এক এক পদ-প্রার্থী।সে যে সে ভাবে নয়, রীতিমত পেতলের থালাবাটি, গ্লাসে তাদের রাজকীয় আবির্ভাব।নানা অ্যান্টিক বাঙালি পদের এই এন্ট্রি চোখ থেকে মুখ ছুঁতেই “ইটস ডিফারেন্ট” স্লোগানটা যেন অশ্রুতভাবেই বলে উঠল সকলে। জানা গেল কোনো একটি পদ নাকি সেই আকবর আমলে বাঙালির মেনুতে বিরাজ করত। মধু ও ক্ষীর দিয়ে মাছের কোনো পদের অস্তিত্ব ছিল বলে তো জানতাম না, তাই এ বিষয়ে সবজান্তা ভাব না ফলিয়ে উদর ফোলানোতেই মনোনিবেশ করেছিলাম আধ-ঘন্টাখানেক।আর এই দেখছেন পাতে শুরু পাতায় শেষ...




আদ্যোপান্ত বেরসিক ও প্রথম আংশিক ফুড ব্লগিং-এর সাধুবাদে ভরসা করে আপনারাও ঢুঁ মারতে পারেন দি বেঙ্গল ঘরানার ঘরোন্দায়, যার হাল হদিস এই লিঙ্কে http://thebengalghorana.com/ । খোঁজ রাখুন তাদের থিমেটিক বাঙালি "পদা"বলী-র সাম্প্রতিক সংস্করনে তাদের ফেবু পেজেও https://www.facebook.com/thebengalghorana

Burrrrrrrrrrrrrrrrrrp!
              
    


        

Thursday, April 30, 2015

সেন্টিমেন্ট



তাকিয়ে দেখেছ পথ কত অপরাধ
ফেলে রেখে এগিয়েছ নির্বিকার রাতে,
কোনো আলো ঠিক এসে ধুয়ে দিয়ে যাবে
আমি হাল ছেড়ে আছি সেই ভরসাতে।

জড়িয়ে দেখেছ মায়া কত নিষ্ঠুর
আশ্বাস ফেলে রেখে এগিয়েছে ভিড়ে,
সব চিঠি ঠিকানার উল্লেখ রাখে
পাল্টানো আস্তানা শুধু ভুল ধরে।

মিলিয়ে দেখেছ মন শূন্যতা শুধু
তোমার জন্য রাখা আজও রাজপথ,
অপেক্ষার ফুটপাতে এগিয়েছ তুমি
আড়ালে রয়েছে শুধু সেই কানা ছাদ ।

অন্য-রকম



ভাবতে বসে চোখের তারায় হারিয়েছিলে
পলক ফেলার সে খেলা তো অন্যরকম
আজও ভাবাও একপ্রকারে শান্তি পেলে
চোখ বুজে আজ কল্পনাতেই সেদিন যেমন

যে সব ফেলে তোমার সাথে হারিয়েছিলাম
আজ পাবো না জানার পরেও শান্ত থাকি
সে দিন চোখের তারায় ছিল অন্ধগলি
তিস্তা পারে কয়েক দিনের গল্প বাকি

বেশ গড়াত গল্প না হয় কয়েক পাতা
স্পর্শ আরও কয়েক ফুলের ওড়াত মন
উপচে উঠে তলিয়ে গেলে যে প্রবাহ
আগলে রাখা হারিয়ে যাওয়ার সব আয়োজন।